আমার বাড়িটা হলো ঝাড়গ্রাম জেলাতে, যা S‰mjqml B¿¹NÑa। বর্তমানে জঙ্গলে ঘেরা এই ঝাড়গ্রাম জেলাকে আমরা ভালবেসে “অরণ্যসুন্দরি” নামেও ডেকে থাকি।জঙ্গলে ঘেরা আমাদের এই জেলাটিতে ৮টি ব্লক নিয়ে গঠিত, আমাদের ব্লক হলো জামবনি Hhw AeÉ¡eÉ hÔL…¢m qm T¡sNË¡j, ¢hef¤l-1, ¢hef¤l-2, N¡¢fhõif¤l-1, N¡¢fhõif¤l-2, eu¡NË¡j J p¡Ll¡Cm
। ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় সমগ্র অংশই কম-বেশি জঙ্গল দিয়ে পরিবেষ্টিত। কোনো জায়গায় জঙ্গল খুব ঘন, আবার কোথাও একটু পাতলা। জঙ্গলের মধ্যে হিংস্র প্রাণী বলতে কিছুই নেই, বুনো শুকর, শিয়াল, বিষাক্ত সাপ ছাড়া তেমন কিছুই থাকে না। তবে এখন এই ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির উপদ্রব খুব বেড়েছে। হাতিদেরও হয়তো আমাদের এই এলাকাটা খুব পছন্দ, তাই তারাও ঘুরে বেড়ায় ঝাড়গ্রামের আশেপাশের বিভিন্ন জঙ্গলে। এই হাতির কারণে আবার মানুষ নানারকম সমস্যার মধ্যে পড়ে—ফসল নষ্ট, ঘরবাড়ি ভাঙা, এমনকি নিজের fË¡eJ q¡¢luR।
হাতি এখন আমাদের ঝাড়গ্রাম জেলার BeÉaj একটি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনও মানুষকে প্রাণ হারাতে হয় হাতির কাছে, আবার হাতিকেও প্রাণ হারাতে হয় মানুষের জন্য। প্রশাসন এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকলেও, হাতি আর মানুষের মধ্যে এই হানাহানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি এখনো, এবং এটা খুব একটা সহজ নয় বলেই আমার মনে হয়। এমন অনেক গ্রাম আছে জঙ্গলের পাশে ও ভেতরে, যেগুলোর দিয়ে হাতিরা তাদের যাতায়াতের একটি নির্দিষ্ট পথ বানিয়ে নিয়েছে। যদি হঠাৎ করে কখনও কেউ তাদের সামনে এসে পড়ে, তাহলে তার বেঁচে ফেরার সম্ভাবনা খুবই কম।
এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা হলো চাষাবাস। আমাদের এই জেলাটি মালভূমি আর সমভূমির সমন্বয়ে গঠিত। একদিকে যেমন ছোট-বড় পাহাড় বা টিলা দেখা যায়, তেমনি অন্যদিকে আবার সমতল ভূমিও রয়েছে। মালভূমি অঞ্চলের তুলনায় সমভূমিতে চাষাবাসের অনুকূলতা লক্ষ্য করা যায়। আমাদের গ্রামটি প্রায় সমভূমিতেই বলা যায়। চাষাবাস ছাড়াও আরও অনেক জীবিকা ও উপার্জনের সুযোগ গড়ে উঠেছে, তাই মানুষ এখন আগের তুলনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। সমগ্র দেশ ও বিশ্বের উন্নয়নের সঙ্গে আমরাও তাল মিলিয়ে চলতে শিখেছি। আধুনিকতার ছোঁয়া এখন গ্রামে-গঞ্জেও লক্ষ্য করা যায়।
এখন গ্রামের প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরা যেমন কাজের সূত্রে পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে, তেমনি আবার মেয়েরাও নিজেদের সাবলম্বী করার তাগিদে পড়াশোনা করতে কলকাতা কিংবা আরও দূরের কোনো বড় শহরে গিয়ে থাকছে। শিক্ষার প্রতি মানুষ এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি সচেতন, তাই গ্রামের একজন চাষিও নিজের সবটুকু দিয়ে তার ছেলে বা মেয়েকে ভালোভাবে পড়াশোনা Ll¡e¡l চেষ্টা করে।
